তৌসিফ রেজা, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুরে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী ও উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বৃহৎ জশনে জুলুছ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হিজরি ১৫০০ তম ঈদে মিলাদুন্নবীকে কেন্দ্র করে আয়োজিত এ শোভাযাত্রায় লাখো আশেকানে রাসূল (সা.) অংশগ্রহণ করেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে আঞ্জুমান-এ গাউসিয়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আয়োজনে রেলওয়ে মাঠ থেকে জুলুছটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় ভারত থেকে আগত বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ ও আধ্যাত্মিক নেতা পীর সৈয়দ শাহ ফায়জান আশরাফ আশরাফী আল জিলানী নেতৃত্ব প্রদান করেন।
বর্ণাঢ্য এই জুলুছকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল থেকেই শহরের পাড়া-মহল্লা, খানকাহ, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠনসমূহ খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রেলওয়ে মাঠে জমায়েত হয়। হাতে কালেমাখচিত সবুজ পতাকা ও শোভাযাত্রায় ব্যবহৃত শতাধিক সুসজ্জিত যানবাহন পুরো শহরকে রঙিন আবহে ভরিয়ে তোলে।
জুলুছ শেষে রেলওয়ে মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মহাসমাবেশ ও মিলাদ মাহফিল। এতে বক্তব্য রাখেন,
আঞ্জুমান-এ গাউসিয়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. তাসলিম আশরাফী।
নীলফামারী জেলা সভাপতি আলহাজ্ব গুলজার আহমদ আশরাফী,সাধারণ সম্পাদক হাজী আজহার সুলতান,পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক খালিদ আযম আশরাফী,মাওলানা মোহাম্মদ আলী মিসবাহী,মাওলানা রিজওয়ান আল কাদেরী,মাওলানা ময়নুল ইসলাম আল কাদেরী,মাওলানা মুরশেদুল ইসলাম রিজভী,মাওলানা গোলাম কাদের হিরা প্রমুখ।
এছাড়া রাজনৈতিক অঙ্গনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন। এর মধ্যে ছিলেন সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল গফুর সরকার, সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার, সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী, এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিয়ন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, বিএনপি নেতা শওকত হায়াৎ শাহ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াদ আরফান সরকার রানা প্রমুখ।
সভাপতিত্ব করেন আঞ্জুমান-এ গাউসিয়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সভাপতি আলহাজ নুরুদ্দিন আশরাফী। পরিচালনা করেন উপজেলা সভাপতি আসিফ আশরাফী।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. তাসলিম আশরাফী জানান, উত্তরবঙ্গের ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম এই জুলুছকে সফল করতে ১৫ দিন আগেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ফলে এবারের আয়োজনও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
আলোচনা সভায় বক্তারা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের উদ্যোগের জন্য সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া-মোনাজাতের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বড় এই মিলাদুন্নবীর অনুষ্ঠান।