ঢাকা
২৬শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
রাত ১:৩৮
প্রকাশিত : মে ২৬, ২০২৫
আপডেট: মে ২৬, ২০২৫
প্রকাশিত : মে ২৬, ২০২৫

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা পূর্ণ কর্মবিরতিতে

নিজস্ব প্রতিনিধি,ঢাকা:

গ্রেড ও পদোন্নতি নিয়ে জটিলতা নিরসনের দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

সোমবার থেকে তাদের এই লাগাতার কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। আন্দোলনকারীরা একে বলছেন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি।

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি চলছে।

মোর্চাভুক্ত সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান পুরান ঢাকার সুরিটোলা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

সোমবার সকালে তিনি বলেন, "আমরা স্কুলে এসেছি। শিক্ষার্থীরাও এসেছে। তবে ক্লাস চলছে না। শিক্ষকরা স্কুলেই অবস্থান করছেন।”

সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে একাদশ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি দেওয়ার দাবিতে শিক্ষকরা এ আন্দোলন করছেন।

এ তিন দাবিতে গত ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দিনে এক ঘণ্টা, ১৬ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা, ২১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। এবার শুরু হল তাদের পূর্ণ কর্মবিরতি।

আনিসুর রহমান বলেন, “প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি শিক্ষকদের বেতন এন্ট্রি লেভেলে দ্বাদশ গ্রেডে নির্ধারণ ও চার বছর পর পদোন্নতি দিয়ে একাদশ গ্রেড দেওয়ার সুপারিশ করেছে। কিন্তু আমরা চাচ্ছি এন্ট্রি পদেই সহকারী শিক্ষকদের একাদশ গ্রেডে বেতন। আর উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির দাবিতে আমরা লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছি।”

সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এ কর্মসূচি পালন করছেন বলে দাবি করেন তিনি।

প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি বলেন, "প্রাথমিক শিক্ষা মহাপরিচালকের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাদের পদোন্নতি ও উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসনের আশ্বাস দিয়েছেন। একইসঙ্গে একাদশ গ্রেডে বেতনের প্রস্তাব পাঠানোর কথাও বলেছেন। তবে আমরা আশ্বাসে বিশ্বাসী নই।"

বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ত্রয়োদশ গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকরা একাদশ গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত অক্টোবরে প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। এর আহ্বয়াক করা হয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদকে।

কমিটিতে একজন সদস্য সচিব এবং ৭ জন সদস্য ছিলেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি কমিটি সুপারিশ প্রতিবেদন জমা দেয়।

কমিটির পক্ষ থেকে সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক পদে দ্বাদশ গ্রেডে বেতন দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে দেওয়া এবং পদোন্নতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।

এরপর গত ২৪ এপ্রিল একাদশ গ্রেডে বেতন পাওয়া প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে এবং ত্রয়োদশ গ্রেডে বেতন পাওয়া শিক্ষকদের বেতন দ্বাদশ গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫ হাজার ৫৬৭টি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এসব স্কুলে বর্তমানে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত আছেন।

সর্বশেষ
প্রকাশক ও সম্পাদক - সিকদার সাদেকুর রহমান
বার্তা সম্পাদক- জাহিদুল হাসান জাহিদ
কার্যালয়ঃ ৪ দারুসসালাম রোড, মিরপুর, ঢাকা।
aazkaalbangla@gmail.com
মোবাইলঃ +8801842280000
আজকাল বাংলা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2021-2025 AjkalBangla.Com All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram