এস এম আওলাদ হোসেন, সিনিয়র রিপোর্টার:
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত ছিল দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার। দশ মাসেও সেটি করেনি। তবে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে কথাবার্তা হয়েছে। কিন্তু আমাদের (বিএনপির) প্রত্যাশা ছিল, রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে ওনার সাথে দেখা করার।
আগামীর দেশ পরিচালনা, হাসিনার বিচার, সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কথা বলার। যাইহোক হয়নি, তবে বিএনপি আশাবাদী আগামী দিনে অন্তর্বর্তী সরকার সেটি করবেন।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বাচন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এ্যানী চৌধুরী আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস খুবই ভালো মানুষ। কয়েকদিন পূর্বে তিনি লন্ডনে সফর করেছেন। সেখানে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ওনার। উভয়ের বৈঠকে নির্বাচন ও সংস্কারসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় আলোচনা হয়েছিলো।
এতে বিএনপি নয় সারাদেশের সকল মানুষ আনন্দিত। তারেক রহমানের সঙ্গে বিদেশে বসে কথা বলেছে। এটি কোন অপরাধ নয়, বরং ওনার সঙ্গে আরও আগে কথা বলা দরকার ছিল। কারণ বিএনপি একটি বড় দল, জিয়াউর রহমানের দল।
আপোষহীন নেত্রীর দল। তাহলে এত বড় দলের নেতার সঙ্গে কথা বলবে এটাতো স্বাভাবিক। বুঝতে হবে, তারেক রহমান তো বিদেশে বেড়াতে যাননি। বাধ্য হয়ে দেশত্যাগ করেছেন। তার সাথে বৈঠক হয়েছে, এটি আমাদের চাওয়া-পাওয়া ছিল।
তিনি আরো বলেন, লন্ডনের ওই বৈঠকটি দু-চারজন মেনে নিতে পারছে না। তারা বলার চেষ্টা করছে, বিদেশে কেন তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আমরা বলবো, একথা বলা তাদের ঠিক হয়নি। দরকার ছিল না। কারণ আমরা সবাই মিলে ফ্যাসিবাদের পতনে আন্দোলন করেছিলাম।
জেল খেটেছি, ত্যাগ স্বীকার করেছি। এসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল, দেশ ও দেশের মানুষকে ভালো রাখতে। সে লক্ষ্যই ছিল লন্ডনের বৈঠকের।
চরশাহী ইউনিয়ন বিএনপির প্রতিনিধি নির্বচন পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও বিএনপি নেতা ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপী, জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট হাফিজুর রহমান, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক বেল্লাল হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম সরওয়ার, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, ছাত্রদল নেতা দেলোয়ার হোসেন ভুঁইয়া বাবু, মো. খালেদসহ আরও অনেকে।