এস এম আওলাদ হোসেন, সিনিয়র রিপোর্টার:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে হাতকড়াসহ আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিয়েছে স্থানীয় জনতা। এ সময় তারা পুলিশকে ‘অবরুদ্ধ’করে রাখে। শনিবার দুপুরে উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে চরঠিকা গ্রামের রাজুর বাড়ির সামনে এ ঘটনা হয়।
আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু চরকাদিরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজুকে দুপুর ১২টার দিকে চরকাদিরা ইউনিয়নের চরঠিকা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেন কমলনগর থানার এএসআই প্রদীপ চন্দ্র দাস।
এসময় এলাকার শতাধিক নেতাকর্মী-সমর্থক একত্রিত হয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এক পর্যায়ে রাজুকে পুলিশের হাত থেকে হ্যান্ডকাফসহ ছিনিয়ে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
পরে হ্যান্ডকাফসহ আওয়ামী লীগ নেতা রাজু ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন। খবর পেয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তোহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তিনি উত্তেজিত জনতাকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জেএসডির যুব পরিষদ নেতা ও আওয়ামী লীগ নেতা রাজুর নিকটাত্মীয় খোকন পরবর্তীতে হ্যান্ডকাপটি উদ্ধার করে থানা পুলিশের কাছে দেন।
ওসি মোহাম্মদ তোহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজু অপরারেশন ডেভিল হান্টের আসামি। আজ দুপুরে পুলিশ ওই এলাকায় মাদক মামলার এক আসামিকে ধরতে অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন রাজন রাজুকে দেখতে পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এক পর্যায়ে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের হাত থেকে রাজনকে হ্যান্ডকাফসহ ছিনিয়ে নেয়।’
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল (কমলনগর-রামগতি) মোহাম্মদ রকিবুল হাসান পিপিএম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা রাজনকে গ্রেপ্তারের পর বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশের হাত থেকে হ্যান্ডকাপসহ রাজনকে ছিনিয়ে নেয়। তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে।’
পুলিশ কীভাবে হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করল– এমন প্রশ্নের জবাবে কারও নাম–পরিচয় উল্লেখ না করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘স্থানীয়রা হ্যান্ডকাপটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।’