নিলা বাউফল, (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে ছাগলে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে মুসলিম পরিবারের ৩সদস্যকে পিটিয়ে আহত করে সংখ্যালগু গবিন্দ ঘরামি (৩৫)। এঘটনায় গুরুতর আহত শাহ আলম রাড়ী (৫৫) প্রায় দের মাস চিকিৎসার পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে মৃত্যুর বরণ করেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কায়না গ্রামের গবিন্দ ঘরামির পরিবারের সাখে একই গ্রামের শাহ আলম রাড়ীর পরিবারের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনার দিন গত ২১ মার্চ সকাল ১১টায় ছাগলে ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে গবিন্দ ঘরামির নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে শাহ আলমের পরিবারের ওপর হামলা করে। এসময় শাহ আলম গুরুতর আহত হয়।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে বরিশাল পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ২দফায় অস্ত্রোপচার শেষে অবস্থার উন্নতি না হলে শাহ আলমকে বাড়িতে নিয়ে আসে তার পরিবার।
অবশেষে আজ বৃহস্পতিবার (১মে)সকাল ৭টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মারা যান তিনি। ঘটনার দিন আহত হয় শাহ আলমের স্ত্রী নাজমা (৪৫) বেগম ও তার ছেলে রাকিব (২০)। ওই ঘটনায় গত ২৩মার্চ শাহ আলমের স্ত্রী বাদি হয়ে বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে নিহতের স্ত্রী নাজমা বেগমঅভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পর থেকে অজানা কারণে বাউফল থানার পক্ষ থেকে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. মাসুদ খলিফা। এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি । ৪নং আসামী জামিন নিতে গিয়ে আদালতে গ্রেপ্তার হয়। বাকি এজাহারভুক্ত কোন আসামি এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
নবাগত বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় আগেই মামলা হয়েছে। ইতি মধ্যে ৩আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।