কক্সবাজারে উচ্ছেদের প্রতিবাদে সড়ক ও জেলা প্রশাসন কার্যালয় অবরোধ

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার।। কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে ভিটেবাড়ির অস্তিত্ব রক্ষার দাবিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমিতিপাড়া ও কুতুবদিয়াপাড়ার হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ, জেলা প্রশাসন কার্যালয় ও সড়ক অবরোধ করেছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে ব্যানার, প্লেকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে মিছিল সহকার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয় কুতুবদিয়া ও সমিতির পাড়ার হাজার হাজার মানুষ।

বেলা ১২ টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অনশন ও অবরোধ করে তারা। পরে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে অবরোধ ও অনশন তুলে নেয় বাসিন্দারা।

সমাবেশে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, বিমান বন্দর সম্প্রসারণের কথা বলে তাদেরকে উচ্ছেদ করার চেস্টা করছে সরকার। যা বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না।

শুধু তাই নয় এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসলে পর্যটন শহর অচল করে দেয়ার হুমকি দেন আন্দোলনকারীরা। কক্সবাজার বিমান বন্দরকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয় সরকার।

যার প্রেক্ষিতে চালু হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮১ সাল হতে কুতুবদিয়া, ধলঘাটা, মাতারবাড়ী, মহেশখালীসহ উপকূলীয় ও নদী ভাঙ্গন অঞ্চলের বাস্তুহারা লোকজন এসে কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে বসতি স্থাপন শুরু করে।

পরবর্তীতে ১৯৯১ সালের প্রলয়নকারী ঘূর্ণিঝড়ে বিশাল জনগোষ্ঠি ভিটা মাটি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়লে উক্ত জনগোষ্ঠিকে তৎকালীন সরকারের আমলে জেলা প্রশাসক “কক্সবাজার বিমান বন্দর” এর পশ্চিম পাশে কক্সবাজার মৌজার সমুদ্রের ভরাট হওয়া বেলাভূমিতে বসতী স্থাপনের জন্য অনুমতি প্রদান করেন।

পরবর্তীতে বৃহত্তর কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতি পাড়া, নাজিরারটেকে মোট ২২ টি মহল্লা গড়ে উঠে। সেই সময় থেকে সাংবিধানিক অধিকার রক্ষার্থে সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে বন্দোবন্তের আবেদন করলে তাদেরকে বন্দোবস্তের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি।

বক্তারা আরও বলেন, জান দেবো তবুও বাস স্থান ছাড়বনা। ‘যেখানে বাসস্থান, সেখানে কবরস্থান’ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *