পবিত্র কুরআনে নামাযের আদেশ

ইসলাম ডেস্ক।। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ইসলামের ভিত্তি ৫টি জিনিসের ওপর স্থাপিত- ১. এ সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল।২. নামাজ কায়েম করা। ৩. জাকাত আদায় করা। ৪. বাইতুল্লাহর হজ করা এবং ৫. রমজানের রোজা রাখা। (বোখারী ও মুসলিম)

নামাজ ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের একটি। ঈমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ।

নামায, (নামাজ ফারসি শব্দ) বা সালাত হলো ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনাকর্ম। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত (নির্দিষ্ট নামাজের নির্দিষ্ট সময়) নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য আবশ্যক বা ফরজ।

(১) তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। আর নিঃসন্দেহে তা বড়ই কঠিন- বিনীতদের জন্যে ছাড়া । ( সূরা: বাকারাহ, আয়াত ৪৫)

(২) বল, নিশ্চয় আমার সালাত, আমার কোরবানি, আমার জীবন ও আমার মরণ জগৎ সমূহের প্রতি পালক আল্লাহর জন্যে। (সূরা: আনয়াম, আয়াত: ১৬২)

(৩) তোমরা সালাত সমূহের প্রতি এবং ( বিশেষ করে ) মধ্যবর্তী সালাতের প্রতি যত্ন বান হও, এবং আল্লাহর (সন্তুষ্টির)  জন্যে একান্ত অনুগত অবস্থায় দাড়াও। (সূরা: বাকারাহ, আয়াত: ২৩৮)

(৪) আমি যদি তাদেরকে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করি (ক্ষমতা ও সম্পদ দ্বারা) তাহলে তারা সালাত কায়েম করবে, সৎ কাজের নির্দেশ দেবে ও অসৎ কাজ  হতে নিষেধ করবে, আর সব কাজের পরিণাম আল্লাহর (নিকট) (সূরা: হাজ, আয়াত: ৪১)

(৫)  আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামাজ কায়েম করুন। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সূরা: আনকাবুত, আয়াত: ৪৫)  

(৬) এবং তুমি সালাত কায়েম কর দিনের দুই দিনের দুই প্রান্তে ও রাতের প্রথমাংশে। নিশ্চয় ভালো কাজ মন্দ কাজকে মিটিয়ে দেয়। উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্যে এটি এক উপদেশ। (সূরা: হুদ, আয়াত: ১১৪)

(৭) অতঃপর যখন তোমরা নামায সম্পন্ন কর, তখন দন্ডায়মান, উপবিষ্ট ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ কর। অতঃপর যখন বিপদমুক্ত হয়ে যাও, তখন নামায ঠিক করে পড়। নিশ্চয় নামায মুসলমানদের উপর ফরয নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।  (সূরা: নিসা, আয়াত: ১০৩)

(৮) সূর্য হেলে পড়ার পর থেকে রাতের ঘন অন্ধকার পর্যন্ত কায়েম করো এবং কায়েম কর ফরজের কোরআন পাঠও (অর্থাৎ সালাতুল ফরজ)। নিশ্চয় ফজরের পাঠ ( সালাতুল ফরজ) প্রত্যক্ষ করা হয়। (সূরা: বানী ইসরাইল, আয়াত: ৭৮)

(৯) ওহে যারা ঈমান এনেছ! জুমার দিনে যখন তোমাদেরকে সালাতের জন্যে ডাকা হয় তখন তোমরা  আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় পরিত্যাগ কর। এটি তোমাদের জন্যে উত্তম –যদি তোমরা জানতে। (সূরা: জুমা, আয়াত: ৯)

(১১) সুতরাং ওই সব নামাজির জন্য দুঃখ, যারা নিজেদের নামাজসমূহে অলসতা করে। যারা লোককে দেখানোর জন্য নামাজ পড়ে। (সূরা: মাউন, আয়াত: ৪-৫-৬)

(১২) নিশ্চয় মুমিনগণ সফলকাম, যারা নিজেদের নামাজে অন্তরের বিনয় প্রকাশ করে। (সূরা: মু‘মিন, আয়াত: ১-২)

(১৩) সজাগ দৃষ্টি রেখ সমস্ত নামাজের প্রতি এবং মধ্যবর্তী নামাজের প্রতি। আর আল্লাহর সামনে আদব সহকারে দাড়াও। (সূরা: বাকারা, আয়াত: ২৩৮)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *