ইসলাম ডেস্ক। ফিতনা’ শব্দটি আরবি। এর অর্থ নৈরাজ্য, অরাজকতা, বিশৃঙ্খলা, অন্তর্ঘাত, চক্রান্ত, বিপর্যয়, পরীক্ষা প্রভৃতি। অভিধানবিদ আজহারি বলেন, ‘আরবি ভাষায় ফিতনার সামগ্রিক অর্থ পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
আগুনে পুড়িয়ে সোনার আসল-নকল ও মান যাচাইপ্রক্রিয়া বোঝাতে ফিতনা শব্দের ব্যবহার লক্ষ করা যায়। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতেও এরূপ অর্থে শব্দটি ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।’ ‘সেদিন তাদের আগুনে পোড়ানো হবে।’ (তাহজিবুল লুগাহ, ১৪/২৯৬)
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ কি মনে করে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে, আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না?’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত : ২) উল্লিখিত আয়াতে ‘য়ুফতানুন’ শব্দটি ‘ফিতনা’ থেকে এসেছে, যা পরীক্ষার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের ফিতনার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহর কাছে ফিতনা হত্যা অপেক্ষা মারাত্মক। (সুরা বাকারা, আয়াত : ২১৭)
প্রিয় নবী (সা.) স্বীয় উম্মতদের ফিতনার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। রাসুল (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিসে ফিতনার বিভিন্ন আলামত সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। নিম্নে এ ধরনের কিছু হাদিস তুলে ধরা হলো।
ইলম উঠে যাওয়া কিয়ামতের অন্যতম আলামতগুলোর একটি। পাশাপাশি এটি উম্মতের মাঝে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহ একটি ফিতনা। মানুষ আলেমদের অবমূল্যায়ন করতে শুরু করবে। ফলে প্রকৃত ইলম আস্তে আস্তে উঠে যাবে। মানুষ বিভ্রান্ত হতে থাকবে। সবাই নিজেকে আল্লামা ভাবতে শুরু করবে। রাসুল (সা.) বলেছেন, অবশ্যই কিয়ামতের আগে এমন একটি সময় আসবে যখন সব জায়গায় মূর্খতা ছড়িয়ে পড়বে এবং ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে। (বুখারি, হাদিস : ৭০৬২)
বর্তমানে রাজনৈতিক কিংবা ব্যক্তিগত কারণে মুসলমানরাই মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। একে অপরকে দমানোর জন্য সব পদক্ষেপই গ্রহণ করে বসে। রাসুল (সা.) মুসলমানদের নিজেদের মধ্যে এমন বিবাদে জড়ানো ফিতনা বলে আখ্যায়িত করেছেন। আহনাফ ইবনে কায়স (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (সিফফিনের যুদ্ধে) এক ব্যক্তিকে (আলী রা.)-কে সাহায্য করতে যাচ্ছিলাম। আবু বাকরাহ্ (রা.)-এর সঙ্গে আমার দেখা হলে তিনি বললেন, ‘তুমি কোথায় যাচ্ছ?’ আমি বললাম, ‘আমি এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে যাচ্ছি।’ তিনি বললেন, ‘ফিরে যাও। কারণ আমি আল্লাহর রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছি যে দুজন মুসলমান তাদের তরবারি নিয়ে মুখোমুখি হলে হত্যাকারী এবং নিহত ব্যক্তি উভয়ে জাহান্নামে যাবে।’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! এ হত্যাকারী (তো অপরাধী), কিন্তু নিহত ব্যক্তির কী অপরাধ? তিনি বললেন, (নিশ্চয়ই) সেও তার সাথিকে হত্যা করার জন্য উদগ্রীব ছিল।’ (বুখারি, হাদিস : ৩১)
বর্তমান বিশ্বের প্রখ্যাত স্কলার জাস্টিস আল্লামা মুফতি তাকি উসমানি তাঁর একটি লেকচারে বিভিন্ন হাদিসের আলোকে ফিতনার বাহাত্তরটি নিদর্শন উল্লেখ করেন। নিম্নে সেগুলো তুলো ধরা হলো।
হজরত হুজায়ফা (রা.) বলেন, কিয়ামতের আগে বাহাত্তরটি বিষয় প্রকাশ পাবে :
১. লোকেরা নামাজে ডাকাতি করবে। অর্থাৎ নামাজের প্রতি মানুষের একদম গুরুত্ব থাকবে না। এ কথাটি আজকের যুগে এতটা আশ্চর্যের নয়। কারণ এ যুগে বেশির ভাগ মুসলমানের মাঝেই নামাজের গুরুত্ব নেই। রাসুল (সা.) যখন এ কথা বলেছিলেন তখন নামাজ ঈমান এবং কুফুরের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টিকারী বিষয় ছিল। সে যুগে একজন মুসলমান যত খারাপই ছিল না কেন, যত মারাত্মক বদকার ও ফাসেকই ছিল না কেন, তারা কিছুতেই নামাজ ছাড়ত না। সে যুগে রাসুল (সা.) এ কথাটি বলেছিলেন। তখন মানুষ নামাজ ছাড়ার কল্পনাও করতে পারত না। ২. আমানতের খেয়ানত করবে। অর্থাৎ তাদের কাছে আমানতরূপে যা কিছু রাখা হবে তা তারা আত্মসাৎ করবে। ৩. সুদের লেনদেন করবে। ৪. মিথ্যা কথা বলাকে হালাল মনে করবে। অর্থাৎ মিথ্যা বলতে পারাকে একটি দক্ষতা ও যোগ্যতা মনে করা হবে। ৫. সামান্য বিষয়ে রক্তপাত করবে এবং অন্যের প্রাণ সংহার করবে। ৬. উঁচু উঁচু ভবন নির্মাণ করবে। ৭. দীন বিক্রি করে দুনিয়া উপার্জন করবে। ৮. আত্মীয়দের সঙ্গে বাজে আচরণ করবে। ৯. ইনসাফ উঠে যাবে। ১০. মিথ্যা সত্যতে পরিণত হবে। ১১. রেশমি পোশাক পরিধান করা হবে। ১২. জুলুম-অত্যাচার ব্যাপকরূপ লাভ করবে। ১৩. তালাকের আধিক্য হবে। ১৪. আকস্মিক মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে। ১৫. দুর্নীতিপরায়ণ লোকদের সেলাক মনে করা হবে। ১৬. সেলাকদের দুর্নীতিপরায়ণ মনে করা হবে। ১৭. মিথ্যাকে সত্য মনে করা হবে। ১৮. সত্যকে মিথ্যা বলা হবে। ১৯. অপবাদ আরোপের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ২০. বৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও পরিবেশ উষ্ণ থাকবে। ২১. লোকেরা সন্তান লাভের পরিবর্তে সন্তান নেওয়াকে অপছন্দ করবে। অর্থাৎ সন্তান লাভের জন্য মানুষ যেভাবে দোয়া করে তার পরিবর্তে সন্তান না হওয়ার জন্য দোয়া করবে এবং বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করবে। যেমন, আজকাল পরিবার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং বলা হচ্ছে ‘দুটি সন্তানের বেশি নয়, একটি হলে ভালো হয়।’ ২২. নীচ লোকেরা সম্পদশালী হবে এবং অত্যন্ত বিলাসী জীবনযাপন করবে। ২৩. ভদ্রলোকেরা নিগৃহীত হবে। ২৪. রাষ্ট্রপ্রধান, শাসকবর্গ ও মন্ত্রিপরিষদ এবং তাদের সমর্থক ও সহযোগীরা মিথ্যা বলায় অভ্যস্ত হয়ে যাবে এবং সকাল-বিকেল মিথ্যা কথা বলবে। ২৫. আমানতদার ব্যক্তি খেয়ানত করবে। ২৬. নেতৃবর্গ জালেম ও অত্যাচারী হবে। ২৭. আলেম এবং কারি বদকার হবে। অর্থাৎ আলেম এবং পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতকারী লোকজনও বদকার ও ফাসেক হবে। ২৮. লোকেরা জীবজন্তুর চামড়া দ্বারা তৈরি উন্নতমানের পোশাক পরবে। ২৯. কিন্তু তাদের দিলগুলো মৃত জন্তুর চেয়ে বেশি দুর্গন্ধময় হবে। ৩০. এবং পাথরের চেয়ে বেশি কঠিন হবে। ৩১. স্বর্ণ সুলভ হবে। ৩২. রুপার মূল্য বেড়ে যাবে। ৩৩. গুনাহর পরিমাণ বেড়ে যাবে। ৩৪. জানমালের নিরাপত্তা কমে যাবে। ৩৫. কোরআন শরিফকে সজ্জিত করা হবে। ৩৬. মসজিদকে কারুকার্যময় করা হবে। ৩৭. উঁচু উঁচু সৌধ নির্মিত হবে। ৩৮. হৃদয়গুলো উজাড় হবে। ৩৯. ব্যাপকভাবে মদ পান করা হবে। ৪০. শরিয়তের দণ্ডবিধিকে অকার্যকর করা হবে। ৪১. দাসী স্বীয় মুনিবকে জন্ম দিবে। অর্থাৎ মেয়ে মায়ের ওপর কর্তৃত্ব করবে এবং এরূপ ব্যবহার করবে, যেরূপ মুনিব দাসীর সঙ্গে ব্যবহার করে। ৪২. একসময় যারা খালি পায়ে ও উন্মুক্ত দেহে চলাফেরা করত, এরূপ নীচু শ্রেণির লোকেরা দেশের শাসক বনে যাবে। ৪৩. পুরুষ ও মহিলা যৌথভাবে ব্যবসা করবে। মহিলারা জীবনের সকল ক্ষেত্রে পুরুষের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে। ৪৪. পুরুষরা মহিলাদের বেশভূষা ধারণ করবে। ৪৫. মহিলারা পুরুষদের বেশভূষা ধারণ করবে। দূর থেকে দেখে বোঝা যাবে না, এটা পুরুষ না মহিলা। ৪৬. গায়রুল্লাহর নামে শপথ করা হবে। শপথ শুধু আল্লাহর নামে এবং কোরআনের ওপর বৈধ, অন্য কোনো কিছুর নামে শপথ করা হারাম। কিন্তু ফিতনার যুগে মানুষ আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য জিনিসের নামেও শপথ করবে।
৪৭. মুসলমানরাও নির্দ্বিধায় মিথ্যা সাক্ষ্য দিতে প্রস্তুত থাকবে। ৪৮. শুধু পরিচিত লোকদের সালাম দেওয়া হবে। অথচ রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা হলো : তুমি যাকে চেন তাকেও সালাম কর এবং যাকে তুমি চেন না তাকেও সালাম কর (বুখারি, হাদিস : ১২)। বিশেষ করে পথ চলার সময় পথে কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে তাদের সকলকে সালাম করা উচিত। কিন্তু গমনাগমনকারী লোকদের সংখ্যা অনেক বেশি হলে এবং সালামের কারণে নিজের কাজে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তখন সালাম না দেওয়ারও অবকাশ আছে। কিন্তু একটা সময় আসবে যখন গমনাগমনকারীদের সংখ্যা এক-দুজন হলেও সালাম দেওয়া হবে না; সালামের রেওয়াজ একবারেই উঠে যাবে। ৪৯. দুনিয়া লাভের উদ্দেশ্যে দ্বিনী ইলম শিক্ষা দেওয়া হবে। শিক্ষা অর্জনকারীদের উদ্দেশ্য হবে এর মাধ্যমে আমাদের ডিগ্রি লাভ করা, চাকরি পাওয়া, পয়সা উপার্জন করা এবং সম্মান ও খ্যাতি অর্জিত হওয়া। ৫০. আখেরাতের কাজের দ্বারা দুনিয়া উপার্জন করা হবে। ৫১. জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় সম্পদকে নিজের সম্পদ মনে করা হবে। ৫২. আমানতের মালকে লুটের মাল মনে করা হবে। ৫৩. জাকাতকে জরিমানা মনে করা হবে। ৫৪. সমাজের সবচেয়ে নীচ ও নিকৃষ্ট ব্যক্তিকে লোকেরা নিজেদের নেতা বানাবে। ৫৫. মানুষ নিজের পিতার অবাধ্যতা করবে। ৫৬. এবং মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবে। ৫৭. বন্ধুদের ক্ষতি করতে দ্বিধা করবে না। ৫৮. স্ত্রীর আনুগত্য করবে। ৫৯. বদকার লোকেরা মসজিদে শোরগোল করবে। ৬০. গায়িকা মহিলাদের সম্মান করা হবে। অর্থাৎ যে মহিলারা গানবাজনার পেশায় থাকবে তাদের সম্মানের চোখে দেখা হবে। ৬১. বাদ্যযন্ত্র এবং বাজনার বিভিন্ন উপকরণকে বিশেষ যত্ন করা হবে। ৬২. মদের দোকান বেড়ে যাবে। ৬৩. জুলুম-অত্যাচার করাকে গর্বের বিষয় মনে করা হবে। ৬৪. আদালতে ন্যায়বিচার বিক্রি হবে। অর্থাৎ বিচারপ্রার্থী ন্যায়ের ওপর হলেও পয়সা দিয়ে রায় নিজের পক্ষে নিতে হবে। ৬৫. পুলিশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ৬৬. পবিত্র কোরআন গানের সুরে তিলাওয়াত করা হবে। কোরআনকে বোঝার জন্য অথবা সাওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে কিংবা দাওয়াতের উদ্দেশ্যে তিলাওয়াত করা হবে না। ৬৭. হিংস্র পশুর চামড়া ব্যবহার করা হবে। ৬৮. উম্মতের শেষ যুগের লোকেরা প্রথম যুগের লোকদের ওপর বিভিন্ন অপবাদ আরোপ করবে। তাদের সমালোচনা করবে এবং বলবে, তারা এই এই কথা ভুল বলেছে। আজকের যুগে দেখা যায়, উম্মতের শ্রেষ্ঠ জামাত সাহাবায়ে কেরামের সঙ্গে অনেকে বেয়াদবি করছে। যাঁদের মাধ্যমে আমরা দ্বিন পেয়েছি, তাঁদেরকে বেকুব, মূর্খ ও ধর্মান্ধ বলছে। ৬৯. হয়তো তোমাদের ওপর আল্লাহর পক্ষ থেকে লালবর্ণের তুফান আসবে। ৭০. অথবা ভূমিকম্প আসবে। ৭১. অথবা লোকদের চেহারা বিকৃত হবে। ৭২. অথবা আকাশ থেকে পাথর বর্ষিত হবে। কিংবা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে অন্য কোনো আজাব আসবে।
এসব আলামত নিয়ে একটু চিন্তা করলে দেখা যাবে আমাদের সমাজে প্রতিটি আলামত বিদ্যমান এবং সমাজে বর্তমানে যে অশান্তি বিরাজ করছে তা মূলত ওপরে বর্ণিত বদআমলগুলোরই ফল। আর এ কারণেই আমাদের ওপর বিপদাপদের পাহাড় ভেঙে পড়ছে।
হজরত আলী (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, যখন আমার উম্মতের মাঝে বারোটি (কোনো কোনো বর্ণনায় পনেরোটি) কাজ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে তখন তাদের ওপর মসিবতের পাহাড় ভেঙে পড়বে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ, কাজগুলো কী? উত্তরে রাসুল (সা.) বলেন :
১. যখন রাষ্ট্রীয় সম্পদকে লুটের মাল মনে করা হবে…। ২. যখন আমানতের মালকে লুটের মাল মনে করা হবে এবং তাতে খেয়ানত করবে। ৩. যখন লোকেরা জাকাতকে জরিমানা এবং ট্যাক্স মনে করবে। ৪. মানুষ স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের অবাধ্যতা করবে অর্থাৎ মানুষ স্ত্রীকে খুশি করার জন্য মাকে অসন্তুষ্ট করবে। ৫. মানুষ বন্ধুর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে এবং বাবার সঙ্গে অসদ্ব্যবহার করবে অর্থাৎ বন্ধুর সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করবে কিন্তু বাবার সঙ্গে রূঢ় ও কঠোর আচরণ করবে। ৬. মসজিদে শোরগোল হবে। ৭. সমাজের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও নীচ ব্যক্তিকে নেতা বানানো হবে। ৮. অনিষ্টের ভয়ে মানুষকে সম্মান করা হবে। ৯. ব্যাপকভাবে মদ পান করা হবে। ১০. ব্যাপকভাবে রেশমি কাপড় পরিধান করা হবে। ১১. ঘরে নর্তকী ও গায়িকা রাখা হবে এবং বাদ্যযন্ত্র ও নাচ-গানের উপকরণকে যত্নসহকারে রাখা হবে। ১২. এ উম্মতের পরবর্তী লোকেরা পূর্ববর্তী লোকদের ওপর অভিসম্পাত করবে।