

নিজস্ব প্রতিনিধি:
সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করেছে গঠিত জাতীয় বেতন কমিশন। প্রস্তাব অনুযায়ী, গত ১০ বছরের ব্যবধানে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এই খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করে সরকারের কাছে জমা দেয়।
প্রস্তাবটি অনুমোদনের পর ২০২৬ অর্থবছর থেকেই নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হতে পারে বলে কমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। প্রস্তাবিত কাঠামোয় গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-২০ পর্যন্ত সব স্তরের কর্মচারীদের বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রস্তাবিত মূল বেতন (গ্রেড অনুযায়ী): গ্রেড-১: ১,৫০,৫৯৪ টাকা গ্রেড-২: ১,২৭,৪২৬ টাকা গ্রেড-৩: ১,০৯,০৮৪ টাকা গ্রেড-৪: ৯৬,৫৩৪ টাকা গ্রেড-৫: ৮৩,০২০ টাকা গ্রেড-৬: ৬৮,৫৩৯ টাকা গ্রেড-৭: ৫৫,৯৯০ টাকা গ্রেড-৮: ৪৪,৪০৬ টাকা গ্রেড-৯: ৪২,৪৭৫ টাকা গ্রেড-১০: ৩০,৮৯১ টাকা গ্রেড-১১: ২৪,১৩৪ টাকা গ্রেড-১২: ২১,৮১৭ টাকা গ্রেড-১৩: ২১,২৩৮ টাকা গ্রেড-১৪: ১৯,৬৯৩ টাকা গ্রেড-১৫: ১৮,৭২৮ টাকা গ্রেড-১৬: ১৭,৯৫৫ টাকা গ্রেড-১৭: ১৭,৩৭৬ টাকা গ্রেড-১৮: ১৬,৯৯০ টাকা গ্রেড-১৯: ১৬,৪৪১ টাকা গ্রেড-২০: ১৫,৯২৮ টাকা।
সূত্র জানায়, বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন কাঠামোয় ভাতা, ইনক্রিমেন্ট ও অবসর সুবিধা পুনর্মূল্যায়নের প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। কমিশন চায়, নতুন বেতন কাঠামো যেন বর্তমান বাজারদর, জীবনযাত্রার ব্যয় ও মুদ্রাস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। নতুন প্রস্তাব অনুমোদিত হলে, এটি হবে বাংলাদেশের অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল, যা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
