বাউফলে মানহানি করার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন

নিলা, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যাচার করে মানহানি করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি ) বিকেল ৫ টার দিকে বাউফল রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন।

তিনি বলেন, তার বাড়ির চাচাতো বোনের মেয়ের সাথে উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাঈম হোসেনের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে নানা কৌশলে বিভিন্ন সময়ে ব্যবসা করার নাম করে যৌতুক দাবি করে নাঈম।

এক পর্যায়ে চাপের মুখে নাঈমকে ব্যবসার জন্য ৫লাখ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আরো টাকা দাবি করলে আমি (সাদ্দাম) দিতে নিষেধ করি।

এতেই সে (নাঈম) ক্ষিপ্ত হয়। এছাড়াও বিয়ের প্রায় ছয় মাস পরে নাঈম দাবি করে তার স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ। প্রতারণার মাধ্যমে আমরা তার কাছে আমাদের ভাগ্নিকে বিয়ে দেই।

এ বিষয়ে ১৯জানুয়ারি ফেইসবুকে নিজের আইডিতে একটি ভিডিও ছেড়ে এই প্রতারণার অভিযোগ এনে সে আমাকে দায়ী করেন।

আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের বিষয় নিয়ে আমি মুঠোফোনে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) জুম্মার নামাজের আগে এবং পরে আমি নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম।

সেই সময় নাঈমের বাড়িতে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনাকে তিনি ডাকাতি হয়েছে দাবি করেন এবং সাংবাদিকদের দেয়া সাক্ষাৎকারে নাঈম অভিযোগ করেন এই ডাকাতি আমি করিয়েছি।

মূলত পারিবারিক একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তিনি বারবার আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার গুজব রটিয়ে আমার মানহানি করছে।

আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমার দাবি সকল ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক। আমার যে মানহানি করা হয়েছে সে বিষয় আমি মামলা করবো এবং আমার মামলার সঠিক বিচারের দাবি করছি ৷ ডাকাতি অনেক বড় ঘটনা এই ঘটনায় তদন্ত ছাড়া এভাবে আমাকে দায়ী করা পাগলামি ছাড়া কিছুই না।

এই ব্যবসায়ী আরো বলেন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নাঈম হোসেনকে হুমকি দিয়েছে। ওই ম্যানেজারের কোনো ক্ষতি হলে সে ঘটনায় নাঈম হোসেন দায়ী থাকবে৷ অপরদিকে গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় নাঈমের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।

ডাকাতরা নাঈমের মাকে বাড়িতে একা পেয়ে তাকে মারধর করে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। এই ডাকাতি ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন করিয়েছে বলেও দাবি করেন নাঈম হোসেন।

তবে স্থানীয়রা লুটপাট এবং মারধরের সত্যতা নিশ্চিত করলেও কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিনতে পারেননি বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *