এস এম আওলাদ হোসেন, সিনিয়র রিপোর্টার।। লক্ষ্মীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শেফালী বেগম (৫০) ও ভাবনা আক্তার (২৪) নামে দুই নারীকে বেদম মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত যুবলীগ মো. রাশেদকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন দুপুরে রাশেদসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করে ভুক্তভোগী নারী শেফালী বেগম। এতে রাশেদের বোন রোজিনা আক্তার (৪০), মা রেহানা আক্তার এবং তাদের আত্মীয় ইউসুফ (৪৫) ও তার স্ত্রী আয়েশা খাতুন (৩৮) কে আসামি করা হয়।
সদর থানা সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। রাশেদ সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের সাহাদুল্লাহ হাজী বাড়ির মৃত মাহবুবুল ইসলামের ছেলে। মামলার বাদি শেফালী বেগম অভিযুক্ত রাশেদের ফুফাতো বোন এবং জেলার কমলনগর উপজেলার চরফলকন ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জিল্লুর রহিমের স্ত্রী।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই বাড়িতে অভিযুক্ত রাশেদ তার দুই ফুফাতো বোন শেফালী বেগম ও ভাবনা আক্তারকে লাঠি দিয়ে মারধর করে। যার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, স্থানীয় লোকজনের সামনে ওই নারীকে কাঠ দিয়ে মারধর করছে রাশেদ নামের ওই যুবলীগ নেতা। তাকে স্থানীয় কিছু লোক আটকানোর চেষ্টা করে। এতে ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে ওই যুবকের বিচার দাবি করেছে এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী ভাবনা আক্তার জানান, নানার বাড়িতে তার মা ফাতেমা আক্তার ২০০৩ সালে কিছু জমি খরিদ করেন। সেই জমি জোরপূর্বক তার মামাতো ভাই রাশেদ বিক্রি করে দেয়। ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে রোববার দুপুরে ভাবনা ও তার খালাতো বোন শেফালী বেগম বাধা দেয়। একপর্যায়ে অভিযুক্ত রাশেদ তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্ত রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।