লক্ষ্মীপুরে শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

এস এম আওলাদ হোসেন, সিনিয়র রিপোর্টার।। লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যা নিকেতনের সহকারী শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে। সহকারী শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণ চায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে শ্রেণিকক্ষে তালা লাগিয়ে বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তারা। পরে সড়ক অবরোধ করা হয়।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের সড়কে অবস্থান নেয়। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘণ্টা পর সড়ক অবরোধ তুলে নেয়। ততক্ষণে সড়কের দুপাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সহকারী শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াছমিন শ্রেণিকক্ষে তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও কথায় কথায় মানসিক নির্যাতনসহ নানাভাবে নাজেহাল করে আসছেন।

বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের জানায় তারা। এই বিষয়ে শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিনকে সর্তক করলে উল্টো ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথসহ অন্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলে নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন তিনি।

নাটক সাজিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছেন শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিন। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে এই শিক্ষককে অপসারণ বা পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেয় শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই শিক্ষক সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে বিভিন্নস্থানে যৌন হয়রানি করার বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এই কারণে কিছু শিক্ষকের ইন্ধনে শিক্ষার্থীরা এসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।’ লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) লিটন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও কথায় কথায় মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে।

এসব বিষয়ে অভিযোগ দেওয়ায় শিক্ষক ফরিদা ইয়াছমিন আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছেন।’ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচির বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘বিদ্যালয়ে তালা লাগিয়ে পরীক্ষা বর্জন করে শিক্ষার্থীরা। তাদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *