শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার।। শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটির সাথে সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হয়ে টানা চারদিন ছুটি চলছে দেশে। আর এই সুযোগে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে নেমেছে পর্যটকের ঢল। শুক্র, শনিবার ও রবিবার তিনদিনে সবগুলো হোটেল শতভাগ বুকিং হয়েছে। অনেকে রুম না পেয়ে পড়েছে দুর্ভোগে।
পর্যটকদের ভ্রমণ নিরাপদ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা। যানজট নিরসন, পরিবহণ সুবিধায় অনলাইন বাস টার্মিনাল চালু সহ বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন প্রশাসন।
চারদিনের লম্বা ছুটি পরিবারের সঙ্গে কাটাতে সৈকতের নগরী কক্সবাজারে ছুটে আসছেন পর্যটকরা। সমুদ্র সৈকত ছাড়াও হিমছড়ি, ইনানি, দরিয়া নগর পাটুয়ার টেকসহ সবগুলো পর্যটন স্পটে সমাগম ঘটেছে পর্যটকের। শুক্র, শনিবার ও রবিবার তিনদিনে সবগুলো হোটেল শতভাগ বুকিং হয়েছে। পর্যটক টানতে তারকা মানের হোটেল সহ বিভিন্ন হোটেলে রুম ভাড়ায় ৫০% ছাড়ও চলছে। অনেকে রুম না পেয়ে পড়েছে দুর্ভোগে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পর্যটকদের যাতায়াত নিরুৎসাহিত করায় কক্সবাজারে বেড়েছে পর্যটক।
তাদের নিরাপত্তায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা, জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসপি মো. মিজানুর রহমান।
কক্সবাজার কক্স টু ডে এর কর্মকর্তা হোসেন মোহাম্মদ আমজাদ জানিয়েছেন, কক্সবাজারে সাড়ে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস রয়েছে। তার মধ্যে স্টার মানের হোটেল রয়েছে অর্ধশত। এসব স্টার মানের হোটেলে শতভাগ বুকিং রয়েছে। তবে সব মিলিয়ে ভালো ব্যবসা হবে এবার, আশার কথা জানান তিনি।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের সাথে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও রয়েছে। শহরে যানজট নিরসন, পরিবহণ সুবিধায় অনলাইন বাস টার্মিনাল চালু সহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পূজার টানা ছুটিতে কক্সবাজারের অন্তত ৬ লাখ পর্যটকের সমাগম হওয়ায়, জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেল থেকে বিশেষ মনিটরিং করছে। পর্যটক হয়রানি কমাতে তদারকি করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তবে এবার প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন যেতে না পারায় হতাশ বেশিরভাগ পর্যটক।