আন্তর্জাতিক নদী গুলোতে ভারতের অবৈধ বাঁধের খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশ

মনির হোসেন শাওন।প্রথমত জানতে হবে আন্তর্জাতিক নদী কি? যে নদী একাধিক দেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে সেগুলো আন্তর্জাতিক নদী।

বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক নদীর সংখ্যা ৫৮ টি। তার মধ্যে ৫৫ টি ভারত বাংলাদেশে প্রবাহিত।প্রত্যেকটি নদীতে বাঁধ দিয়ে ভারত বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প হাতে নিচ্ছে।

যেমনঃপানি বিদ্যুৎ প্রকল্প’রিভার্জার সহ নানা প্রকল্প। আন্তর্জাতিক নদী ও বাঁধ সম্পর্কে নীতি মালা ও আইনগুলোতে কি বলা হয়েছে? আন্তর্জাতিক নদীর ব্যবহার সম্পর্কে ১৮১৫ সালের ভিয়েনা সম্মেলন, ১৯২১ সালে দারিপুর নদী কমিশন কর্তৃক প্রণীত আইন, আন্তর্জাতিক নদীর পানি ব্যবহার সংক্রান্ত ১৯৬৬ সালে আন্তর্জাতিক আইন সমিতির হেলসিংকি নীতিমালার ৪ ও ৫নং অনুচ্ছেদ, ১৯৯২ সালের ডারলিন নীতিমালার ২নং নীতি, প্রতিটি ক্ষেত্রে ভাটির দেশের স্বার্থ রক্ষিত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক আইন সমিতির হেলসিংকিং নীতিমালার ৪ ও ৫নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রতিটি অববাহিকাভুক্ত রাষ্ট্র, অভিন্ন নদীসমূহ ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই অন্য রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক, সামাজিক প্রয়োজনকে বিবেচনায় নিতে হবে।

তা অবশ্যই অন্য রাষ্ট্রের কোন ক্ষতি না করেই হতে হবে। অথচ ভারত বাংলাদেশের প্রবাহিত প্রতিটি নদীতে আন্তর্জাতিক নীতিমালা ও আইন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাধ দিয়ে রেখেছে।

শুকনো মৌসুমে পানি পাচ্ছে না বাংলাদেশ ফলে নদী গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে পলি জমে সেই সাথে নদী গুলো ভূমিদস্যুরা দখল করে বরাট করে ফেলছে এ কারণে সরু হয়ে যাচ্ছে নদী গুলো।

অন্য দিকে ভারতে ঘনবৃষ্টি হলে বাঁধ গুলে খুলে দেওয়ার ফলে বাংলাদেশে প্রচুর পানি প্রবাহিত হলে নদীগুলোতে পানি ফুলে বাংলাদেশে বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন মেয়াদের সরকার এর পক্ষ থেকে ভারতের সাথে আলোচনা করেও সমাধান করা যাই নি। এই নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ভারতের প্রতি বিরোপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।বাংলাদেশের জনগন ও জনগণের জান মাল রক্ষার্থে বাংলাদেশের উচিত এখন বাঁধ প্রকল হাতে নেওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *