আবু তাহের, স্টাফ রিপোর্টার :
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝাড়াবর্ষা গ্রামে গত ১৪ অক্টোবর মেহেদী হাসান (২৪) নামের এক যুবকের মরদেহ গলায় রশি ঝুলানো অবস্থায় পা মাটিতে দোমড়ানো মুচরানো অবস্থায় তার বড় ভাইয়ের শয়ন ঘরে পাওয়া গেলে মৃত্যু নিয়ে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে।
পরে তার পরিবারেের অভিযোগের সুত্র ধরে সাঘাটা থানা পুলিশ শয়ন, শিপন ও উজ্জ্বলকে জিজ্ঞাস্যবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা মেহেদী হাসান হত্যায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। তারা সকলেই মাদক নেশায় আসক্ত ছিল। মাদক ক্রয় ও সেবনের টাকা নিয়ে তাদের মাঝে দ্বন্দ্বের জের ধরে তারা কয়েকজন তাকে মারপিট করে হত্যা করে গলায় রশিতে ঝুলিয়ে সটকে পড়ে।
মেহেদী হাসানের বড় ভাই বাদী হয়ে ৪ জনকে এজাহার নামীয় আসামিসহ আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যার নং, ১৪ তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ইং।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর সকালে মেহেদী হাসানের মরদেহ তাদের একটি পরিত্যক্ত ঘরে পা দুমড়ানো মোচড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে। ময়না তদন্তশেষে ওইদিন রাতেই লাশের দাফন কাফন সম্পুর্ন করা হয়।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই সুলতান আহম্মেদ বলেন, ধৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।