স্টাফ রিপোর্টার, গাইবান্ধা :
গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝাড়াবর্ষা গ্রামে মেহেদী হাসান (২৪) নামের এক যুবকের মরদেহ গলায় রশি ঝুলানো অবস্থায় পা মাটিতে দোমড়ানো মুচরানো অবস্থায় তার শয়ন ঘরে পাওয়া গেছে।
এমন মৃত্যু নিয়ে জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। কেহ বলছেন তাকে হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে।
জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর দিবাগত রাতে যে কোন সময় গলায় ফাঁস নেয়ার ঘটনা বা অন্য কোনো ঘটনা ঘটলেও তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় ১৪ অক্টোবর সকালে তার এক বন্ধু দেখে পরিবারের লোকজনকে খবর দেয়। মৃত্যু মেহেদী হাসান ঝাড়াবর্ষা গ্রামের মৃত এনামুল হকের ছেলে বলে জানা যায়।
ঘটনার রাতে একই গ্রামের ৪ জন যুবকের সাথে গভীর রাত পর্যন্ত তার শয়ন ঘরেই আড্ডা করেছে।
এলাকার লোকজন বলছে প্রতিদিন রাত অনুমান ১২ টা পর্ষন্ত ১০/১২ জন যুবকের সাথে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যেতো। স্থানীয়দের ধারণা তাকে হত্যা করে ঘরের ধরনা সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মেহেদী হাসান মাদক নেশার সাথে জড়িত ছিল বলেও অনেকে জানান। আর নেশার টাকা নিয়েই এই রহস্যজনক মৃত্যু ঘটতে পারে বলেও ধারণা করছে অনেকেই।
খবর পেয়ে সাঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বাদশাহ আলম ও ঘুড়িদহ ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ তুলিপ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মেহেদীর মৃত্যুর সঠিক তথ্য উদঘাটনে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা মর্গে প্রেরণ করেছেন।