ঢাকা
২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
সকাল ৬:৪০
প্রকাশিত : মে ৭, ২০২৫
আপডেট: মে ৭, ২০২৫
প্রকাশিত : মে ৭, ২০২৫

ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ : লক্ষ্মীপুর বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান

এস এম আওলাদ হোসেন, সিনিয়র রিপোর্টার।।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদুক)।

বিআরটিএ কার্যালয়ের কর্মকতা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে দালালের মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে বুধবার (৭ মে) দুপুরে দুদক চাঁদপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয় থেকে অভিযান চালানো হয়।

এসময় দুদক কর্মকর্তারা মোবাইলফোনে কয়েকজন সেবা গ্রহীতার সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলেন। পরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে গ্রাহক অভিযোগের বিষয়ে লিখিত বক্তব্য নেন। এছাড়া বিভিন্ন নথিপত্র এবং তথ্য সংগ্রহ করে দুদক টিম।

অভিযানে গ্রাহকের সাথে অনিয়ম, হয়রানি এবং সেবা পেতে অতিরিক্ত অর্থের বিষয়ে প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে দুদকের অনুসন্ধানী দল।

অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেন বলেন, লক্ষ্মীপুর বিআরটিএ অফিসের বা গাড়ির নাম্বার প্লেট করাতে আসলে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়। দালালদের মাধ্যমে না আসলে সেবা পেতে বিলম্ব হয়, এ ধরনের অভিযোগ দুদকের গোচরীভূত হয়।

কমিশনের অনুমোদনক্রমে আমরা একটি ইনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করি। শুরুতে আমরা ছদ্মবেশে সেব গ্রহীতাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি। তবে এ কার্যালয়ে সেবাগ্রহীতা তেমন একটা ছিল না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে যারা সেবা নিয়েছে, তাদের মোবাইল ফোনে কথা বলি। কয়েকজন সেবাগ্রহীতা আমাদেরকে জানিয়েছেন তাদেরকে সেবা নিতে বাড়তি টাকা দিতে হয়। অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা আছে।

সেবাগ্রহীতারা গাড়ির শো-রুম কিংবা অন্য ব্যক্তির মাধ্যমে বাড়তি টাকা দিতে হয়। তারা কোন না কোনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। কারা কারা জড়িত, আমরা এখনো সুনিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করেছি। আরও রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবো। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনিয়মের বিষয়ে লক্ষ্মীপুর বিআরটিএ কার্যালয়ের মোটরযান পরিদর্শক প্রণব চন্দ্র নাগ বলেন, দুদক যেসব গ্রাহকদের সাথে কথা বলেছে, কেউ বলেছে গাড়ির শো-রুমকে দিছে, কেউ বলছে দালালের মাধ্যমে দিয়েছে, ওনারা যদি আমাদের কাছে সরাসরি বলতো, আমরা দেখতে পারবো যে আমাদের নাম ভাঙিয়ে আসলে কারা এ টাকাটা নিচ্ছে। ওনারা (দুদক) অভিযোগগুলো বিআরটিএ এর বিরুদ্ধে পেয়েছে, কিন্তু একটা অভিযোগেও বলেনি বিআরটিএ এর কর্মকর্তা বা কর্মচারী টাকা নিছে। অভিযোগকারীরা শো-রুমের কথা বলেছে, কিন্তু কারো নাম বলতে পারেনি।
কার্যালয়ে দালাল এবং শো-রুমের মাধ্যমে বাড়তি টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন এ কর্মকর্তা।

প্রকাশক ও সম্পাদক - সিকদার সাদেকুর রহমান
বার্তা সম্পাদক- জাহিদুল হাসান জাহিদ
কার্যালয়ঃ ৪ দারুসসালাম রোড, মিরপুর, ঢাকা।
aazkaalbangla@gmail.com
মোবাইলঃ +8801842280000
আজকাল বাংলা কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2021-2025 AjkalBangla.Com All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram