ইসলাম ডেস্ক।। তারাবী শব্দের অর্থ বিশ্রাম করা। তারাবীহ বহু দীর্ঘায়িত একটি সালাত। প্রতি চার রাকআত শেষে যাতে একটু বিশ্রাম গ্রহণ করতে পারে সেজন্য এর নামকরণ করা হয়েছে তারাবীহ।
তারাবির নামাজ হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা। রমজান জান্নাতে যাওয়ার উৎকৃষ্টতম উপায় এবং রাইয়ান নামক বিশেষ দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশের সুযোগ। গুনাহ মোচনের অন্যতম মাধ্যম হলো রমজান।
রমজান মাসে এশার নামাজের ৪ রাকাত সুন্নাত ও চার রাকাত ফরজ এবং ২ রাকাত সুন্নাত আদায় করার পর এবং বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বা তারাবির নামাজ আদায় করা হয়।
তারাবি নামাজ ঠিক কত রাকাত এ বিষয়টি নিয়ে অনেক আলেমদের মধ্যে অনেক মতবিরোধ রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন তারাবি নামাজ শুধু মাত্র ২০ রাকাত পড়তে হয়। আবার কেউ কেউ মনে করেন যে তারাবি নামাজ ৮ রাকাত পড়তে হয়।
আমাদের সকলের প্রিয় নবী করিম (সা.) বেশির ভাগ সময় রাতের শেষাংশে তারাবি আদায় করতেন। তিনি কখনো ৮ রাকাত, কখনো ১৬ রাকাত, আবার কখনো ২০ রাকাত তারাবি নামাজ আদায় করেছেন। কিন্তু বিশেষ কারণ বশত নিয়মিত ২০ রাকাত পড়তেন না।
প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, রোজা ছাড়া আদম সন্তানের প্রত্যেকটি কাজই তার নিজের জন্য। তবে রোজা আমার জন্য। আমি নিজেই এর পুরস্কার দেব। রোজা জাহান্নামের আজাব থেকে বাঁচার জন্য ঢাল স্বরুপ।
প্রিয় রাসুল (সা.) কোনো কাজ নিয়মিত করলে তা তার উম্মতের জন্য ওয়াজিব বা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে যায়। এ কারণে তিনি তাঁর আমলে প্রতিনিয়ত ২০ রাকাত পূর্ণ তারাবির জামাত হতে দেন নি। যার কারনে সালাতুত তারাবিহ সুন্নত, ওয়াজিব নয়। তবে তারাবির নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা বা জরুরি সুন্নত।
রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা রমজানের রোজাগুলোকে ফরজ করেছেন এবং রাতে তারাবি নামাজের জন্য দণ্ডায়মান হওয়াকে অশেষ পুণ্যের কাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাই আমাদের সকলের উচিৎ তারাবির নামাজ আদায় করা ও রমজান মাসে রোজা পালন করা।