নিলা, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর বাউফলে একটি ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজে দিয়ে পারাপারে হচ্ছে কয়েক’শ শিক্ষার্থী ও দুই ইউনিয়নের পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা জীবন। গতিহীন হয়ে পরেছে দুই ইউনিয়নের মানুষের স্বাভাকি যাতায়াত।
চলাচল স্বাভাবিক রাখতে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুজাহিদ মুন্সি ও স্থানীয়দের সহায়তায় ব্রিজটির সাময়িক মেরামত করা হয়।
জানাগেছে, ১৯৮৬সালে পূর্ব যৌতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খালের উপর একটি আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করে তৎকালীন সরকার। কয়েক বছরে সংষ্কার করা হয় একাধিকবার। বর্তমানে ওই ব্রিজটির আয়রন মরিচা ধরে প্রায় ভঙ্গুর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পরেছেন যৌতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতকারী দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী।
খালের দুই তীরে একটি প্রাথমিক ও অপর তীরে মাদ্রাসা থাকায় প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে পারপার হচ্ছে কয়েকশত শিক্ষার্থীসহ পাঁচ হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষ। প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় এলাকাবাসীর।
সম্প্রতি স্থানীরা ব্রিজটি নির্মাণে উপজেলা ছাত্রদলের কাছে সহযোগীতা চাইলে ছাত্রদল ও স্থানীয়দের সহায়তায় অস্থায়ী ভাবে কাঠের পাটাতন দিয়ে ব্রিজটি সাময়িকভাবে সংস্কার করেন।
শিক্ষার্থী, অবিভাবক ও স্থানীয়রা বলেন, সাময়ীক নয় স্থায়ীভাবে একটি আরসিসি ব্রিজ নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হোক। একই সাথে দুই ইউনিয়নের প্রায় ৫হাজার মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ব্রিজটি নির্মাণ অত্যান্ত জরুরী।
স্থায়ী সমাধান চেয়ে যৌতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহনেওয়াজ বেগম বলেন, সরকার ঘোষিত মানসম্মত প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা শতভাগ নিশ্চিত করতে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু বিদ্যালয়ের সামনে ব্রিজটি ভাঙা থাকার কারণে উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানান তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী শ্যামল কুমার গায়েন আশ্বস্থ করে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এই মূহুর্তে আমাদের হাতে কোন প্রজেক্ট নেই। পরবর্তী প্রজেক্টে ওই ব্রিজটির নাম অর্ন্তভূক্ত করা হবে।