ফেতনা- বিশৃঙ্খলা গুরুতর পাপ

ইসলাম ডেস্ক।। ফেতনা শব্দটি আরবি যার আভিধানিক অর্থ হলো অরাজকতা, বিশৃংখলা ও কলহ ইত্যাদি। ইসলামের পরিভাষায় ফিতনা বলতে বিশৃঙ্খলা বিপর্যয় সৃষ্টি করা বুঝায়। অর্থাৎ সুশৃংখল ও শান্তিপূর্ণ অবস্থানের বিপরীত অরাজকতা পরিস্থিতি হল ফেতনা।

ইসলাম কখনো দ্বন্দ্ব, সংঘাত, বিশৃঙ্খলাকে প্রশ্রয় দেয় না। অশান্তি-বিশৃঙ্খলা তথা ফেতনা-ফ্যাসাদ সৃষ্টিকে কোরআনে হত্যার চেয়েও গুরুতর পাপ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

আল্লাহ বলেছেন, ‘যখন তাদেরকে বলা হয়, পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি কোরো না, তারা বলে আমরাই তো শান্তি স্থাপনকারী। সাবধান! তারাই অশান্তি সৃষ্টিকারী। কিন্তু তারা বুঝতে পারে না।’ (সুরা বাকারা: ১১-১২)

আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যারা আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে, যা অক্ষুণ্ন রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন, তা ছিন্ন করে এবং দুনিয়ায় অশান্তি সৃষ্টি করে বেড়ায়, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা বাকারা: ২৭)

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ফেতনা (দাঙ্গা, বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য) হত্যা অপেক্ষা গুরুতর পাপ।’ (সুরা বাকারা, আয়াত, ১৯১,

‘আল্লাহ জানেন—কে কল্যাণকামী এবং কে অনিষ্টকারী।’ (সুরা বাকারা: ২২০)

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারা দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করে বেড়ায়, আল্লাহ ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত, ৬৪)

আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেন, ‘দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর এতে বিপর্যয় ঘটাবে না।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ৫৬)

অন্য এক আয়াতে এরশাদ করেছেন, হে আমার প্রতিপালক, বিপর্যয় সৃষ্টিকারী সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাকে সাহায্য করো।’ (সুরা আনকাবুত: ৩০)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘প্রকৃত মুসলমান সেই ব্যক্তি, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে’ (বুখারি : ৬৪৮৪; মুসলিম : ৪০)

সুতরাং মানব সমাজে কোনো রকম নাশকতা, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, সংঘাত, উগ্রতা, প্রতিহিংসাপরায়ণতা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ইসলামে নিষিদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *