সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ

এস এম আওলাদ হোসেন, সিনিয়র রিপোর্টার।। লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে হতাহতের ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন এবং সড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শহরের ঝুমুর সিনেমা হল এলাকায় বিক্ষোভ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী ও আন্দোলনে হতাহতের স্বজনরা। ঘন্টাব্যাপী সড়কে অবস্থান নিয়ে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা সড়ক অবরোধ করে রাখেন তারা। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসান মোস্তফা স্বপনের হস্তক্ষেপে কর্মসুচি স্থগিত করা হয়।

এই কর্মসুচিতে অংশ নেয় শহীদ সাব্বির হোসেনের বাবা আমির হোসেনসহ অন্য শহীদদের পরিবার ও আহতদের স্বজনরা। এতে করে সড়কের দু-পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

পরে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি-শহীদদের স্বজন ও আহতদের মোট ১০ জন পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেনের সাথে বৈঠক করেন।

এ সময় পুলিশ সুপার মামলা রুজু ও দ্রুত জড়িতদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন। পরে সড়ক অবরোধ তুলে নেয়ার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

ছাত্র-জনতার অভিযোগ, ৪ আগস্ট জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও অপসারনকৃত সদর উপজেলা চেয়ারম্যানে সালাহ উদ্দিন টিপুর বাসভবনের ছাঁদ থেকে টিপু নিজে প্রকাশ্যেই শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি হাজারো গুলি ছুড়ে। এতে চার শিক্ষার্থী নিহত ও তিনশর মতো শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়।

এসব ঘটনায় সালাউদ্দিন টিপুসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা করা হয়।

অথচ ঘটনার প্রায় ৬ মাস অতিবাহিত হতে চললেও প্রধান আসামী সালাহ উদ্দিন টিপুসহ অনুসারীদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। বরং যে বাড়ি থেকে গুলি করা হয়েছে।

সে বাড়িটি সংস্কার করে দোকান-পাট খুলে দেয়ার পায়ঁতারা করছে। পাশাপাশি গুলিতে আহত শিক্ষার্থীরা থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও সেটা এখনো রুজু করা হয়নি।

অনতিবিলম্ভে আহত শিক্ষার্থীদের মামলা রুজু, জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বাড়িটি সিলগালা করার দাবি জানান ছাত্র-জনতা। অন্যাথায় আরও কঠোর কর্মসুচির হুশিয়ারী দেন তারা।

পুলিশ সুপার মো. আকতার হোসেন বলেন, ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীরা কেউ ছাড় পাবেনা।তাদের চিহিৃত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যে দাবিগুলো তুলেছেন, প্রত্যেকটি দাবি যৌক্তিক। তাদের দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করছি। ইতিমধ্যে চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় শতাধিক আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *