বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) লাগাতার চিরুনিতল্লাশি। মুম্বাই পুলিশের ২০টি টিম মাঠে। শুক্রবার বেলা ১১টায় ধরা পড়ল সাইফ আলি খানের আক্রমণকারী।
বান্দ্রা রেলওয়ে স্টেশনে তল্লাশির সময়েই তার খোঁজ পায় পুলিশ। সেই সময় আততায়ী ইতস্তত সেখানে ঘুরছিল বলে জানা যায়। তার সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে পুলিশের। এর পরেই আটক করা হয় তাকে। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, অনুপ্রবেশকারী খান পরিবারের কোনও গৃহকর্মীর সঙ্গে পরিচিত ছিল। সম্ভবত সে কারণেই লবির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা না পড়েই সে বাড়িতে প্রবেশ করে। আরও সন্দেহ, আক্রমণকারী বাড়ির নকশা জানত। সম্ভবত পাশের একটি কম্পাউন্ডের দেয়াল বেয়ে ওপরের তলায় পৌঁছানোর জন্য ফায়ার শ্যাফ্ট ব্যবহার করেছিল।
পুলিশি গ্রেপ্তারির কিছু ঝলক ইতিমধ্যেই ভাইরাল। সেখানে দেখা যায়, আটক ব্যক্তিকে বান্দ্রা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।প্রশাসনের আরও অনুমান, পতৌদির বাড়ি থেকে বেরিয়ে আততায়ী সম্ভবত পোশাক বদলে নেয়।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বান্দ্রার ১১ তলার ফ্ল্যাটে হামলার শিকার হন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। একজন অনুপ্রবেশকারী তাঁর বাড়িতে, ছোট ছেলে জেহর ঘরে, অভিনেতার পরিচারিকার মুখোমুখি হয় তখন এটি ঘটে বলে অভিযোগ। সাইফ হস্তক্ষেপ করে সেই ব্যক্তিকে আটকানোর চেষ্টা করলে ছুরি দিয়ে আক্রমণ চালায়। সাইফের গোটা শরীরে ৬ বার ছুরিকাঘাত করা হয়।
অনুপ্রবেশকারীর ছুরিকাঘাতে অভিনেতাকে তৎক্ষণাৎ মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকদের একটি দলের তত্ত্বাবধানে তার অস্ত্রোপচার হয়। মেরুদণ্ড থেকে ২.৫ ইঞ্চি লম্বা ছুরি বের করে তার ‘ফুটো হওয়া মেরুদণ্ড’ মেরামত করার জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়। সাইফ শঙ্কামুক্ত হলেও চিকিৎসকরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।