তাহসিন মেহেরাব শাওন, ঈদগাঁও।। নানান অভিযোগে ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাতকে অপসারণের দাবীতে আন্দোলন শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটিতে। এর প্রেক্ষিতে ১ সেপ্টেম্বর খুরশিদুল জান্নাতের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এরপর তদন্তে প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাতের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ পাননি কমিটি।
এদিকে, প্রধান শিক্ষক খুরশিদুলের দূর্নীতি প্রমাণ না হওয়ায় তাকে আবার প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বহাল করেছে তদন্ত কমিটি। প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাত স্কুলে আসলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও অবিভাবকেরা খুশিতে উৎফুল্ল হয়ে উঠে এবং ফুলের শুভেচ্ছা জানায়। তদন্তে আসল সত্য বেরিয়ে আসায় প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
তারা জানান, চক্রান্তকারীরা সফল হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের বারোটা বেজে যেতো। তারা চক্রান্তকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।
এসময় ছাত্র ছাত্রী অবিভাবকদের উদ্দেশ্য প্রধান শিক্ষক খুরশিদুল জান্নাত বলেন, সব কিছু ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা বানোয়াট বৃত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন তারা। যারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি। আমি চাই এই স্কুলের শিক্ষার্থী যেনো বাংলাদেশের সেরা শিক্ষার্থী হয় এইভাবে ছাত্র- ছাত্রীদের পড়ানোর চেষ্টা করবো।
খুরশিদুল জান্নাত ঈদগাঁও আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পর থেকে শিক্ষার মান এবং অবকাঠামোখাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়। কিন্তু তাতেই বাঁধে বিপত্তি। তার ঈর্ষনীয় সাফলে ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠেপড়ে লাগে একটি অসাধু চক্র। যারা সুযোগ বুঝে ৫ আগস্টের পর আন্দোলনের নামে চক্রান্ত শুরু করে। কিন্তু সেই চক্রান্তে সফল হয়নি তারা।