লক্ষ্মীপুরে সেতু ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকাবাসীর যাতায়াত বন্ধ

এস এম আওলাদ হোসেন, সিনিয়র রিপোর্টার।। লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের সামনে রহমতখালি খালের ওপর অবস্থিত সেতুটি দ্বিখন্ডিত হয়ে ভেঙে পড়েছে।

এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থগিত করা হয়েছে কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষাসহ শিক্ষা কার্যক্রম।

এছাড়া গ্যাসলাইন বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শতাধিক পরিবার। সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট সড়ক চলাচলকারী লক্ষাধিক মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় সংশ্লিষ্ট এলাকার কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সময়মতো হাসপাতালে নেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে শিশু শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষদেরকে ঝুঁকি নিয়ে ভাঙা সেতু দিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

এতে দ্রুত সময়ের মধ্যে চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে বেইলি সেতু স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন কলেজ শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা।

এর আগে রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেলে হঠাৎ দ্বিখন্ডিত হয়ে পড়ে চন্দ্রগঞ্জ-চরশাহী সড়কে কলেজ গেটের সামনের সেতুটি। জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় ওই স্থানে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তবনা পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক।

স্থানীয় বাসিন্দা জাকির আলম, মো. জুয়েল ও শাহ আলম জানান, সেতুটি প্রায় ১৯ মিটার লম্বা। প্রায় ৪০ বছর আগে নির্মিত সেতুটি অনেকটাই নড়বড়ে ছিল। কয়েক বছর আগেই এর উত্তরাংশের মাটিতে ধস দেখা দেয়।

তবে চলাচল করা যেত। সাম্প্রতিক বন্যায় খালে প্রচণ্ড স্রোত ছিল। তীব্র স্রোতে সেতুর পিলারের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। এতে দক্ষিণাংশেও মাটি সরে সেতুটি দ্বিখন্ডিত হয়ে পড়েছে। এতে দক্ষিণাংশ সড়কের কিছু অংশসহ একটি দোকানঘর ও একটি গাছ ভেঙে পড়েছে। এখন যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

একই সঙ্গে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম ও গ্যাস সংযোগ বন্ধ হয়ে আছে। সেতুটির উত্তর পাশে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক, দক্ষিণ পাশে কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ও চন্দ্রগঞ্জ-চরশাহী সড়ক।

এ সেতু দিয়ে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের শেখপুর, রাজাপুর, রামকৃষ্ণপুর এবং চরশাহী ইউনিয়ন হয়ে নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর-চৌমুহনী সড়কের সঙ্গে এসব এলাকার লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াত ছিল। চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা ভাঙা সেতুর ওপর দিয়েই স্কুলে যাচ্ছে।

এছাড়া বিভিন্ন বয়সী মানুষও বাধ্য হয়ে চলাচল করে আসছে। যেকোনো সময় পুরো সেতু পানিতে পড়ে যেতে পারে আশংকা।তখন সেতুর ওপর কেউ থাকলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় রান্নাবান্না নিয়ে বিপাকে পড়েছে শতাধিক পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *