এস এম আওলাদ হোসেন, সিনিয়র রিপোর্টার।। দ্রুত সময়ের মধ্যে কলেজে শিক্ষক সংকট সমাধান, ২০১৪ এর নিয়োগবিধি স্থগিত করে কলেজের জন্য অবিলম্বে স্বতন্ত্র নিয়োগবিধি পাস, কলেজের অভিজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে বস্ত্র অধিদফতরে বস্ত্রশিক্ষা সেল তৈরি করা, অভিজ্ঞতা ছাড়া শিক্ষকদের কলেজে উচ্চপদে প্রমোশন না দেওয়া ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ২টা থেকে বৈষম্যবিরোধী টেক্সটাইল ছাত্র ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তায় প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান করে তারা।
এসময় সড়কের চারপাশে দীর্ঘ যানযটের সৃষ্টি হয়। এরআগে কলেজ ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল করে চৌরাস্তায় আসে শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এফার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হোসেন ও নাজনীন।
আন্দোলনকারীরা বলেন, ‘সারা দেশের সরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলো বস্ত্র অধিদফতরের অধীনে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আমাদের প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থীর ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা পেয়েছি। এখন দেশ বির্নিমানের সময়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য দেশের বস্ত্র শিক্ষাখাত আজও নানা সমস্যা জর্জরিত।
প্রতিষ্ঠানগুলোর বেহাল দশা। বস্ত্রশিক্ষার মানোন্নয়ন ব্যতিত দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন করা সম্ভব না। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৫দফা দাবি নিয়ে গত ১৫ ও ৩০ সেপ্টেম্বর দুই দফা বিক্ষোভ এবং মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।’ সবশেষ গত ১ অক্টোবর তাদের দাবিগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষকে ৭দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। কিন্তু ১০দিন অতিবাহিত হলেও এবিষয়ে কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তারা সড়কে নামতে বাধ্য হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের ৫ দফা দাবি মেনে না নিলে আরও বড় কর্মসূচিতে যাওয়ার কথাও জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।