জাহিদুল হাসান জাহিদ,বার্তা সম্পাদক।। অন্তর্বতীকালীণ সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্তকরণের অভিপ্রায়ের প্রতিবাদে নীলফামারীর সৈয়দপুরে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বেলা দুইটা থেকে তিনটা পর্যন্ত ওই মানবববন্ধন করা হয়। বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বা.ই.স.স) সৈয়দপুর উপজেলা শাখার ব্যানারে ওই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে উপজেলার পাঁচটি কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, বাঙ্গালীপুর, বোতলাগাড়ী ও খাতামধুপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্যরা অংশ নেন।
ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বা.ই.স.স) সৈয়দপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক ও কামারপুকুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আব্দুল মুয়ীদ বিন কাদির, সদস্য সচিব ও কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের সদস্য মো. নুরন্নবী সরকার, বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনিছুর রহমান, কামারপুকুর ইউনিয়েনর চার নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহিদুল ইসলাম, খাতামধুপুর ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন এবং বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্যা মোছা. রোমানা বেগম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গত ২০২১ সালের ২৬শে ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কোন দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয়নি। এমনকি কোন দলীয় প্রার্থীও ছিলেন না। বর্তমানে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য-সদস্যা পদে একাধিক প্রতিদ্বন্ধীর সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্ধীতা করে নির্বাচিত হয়েছেন। এখনও তাদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হয়নি। প্রায় দুই – আড়াই বছর সময় বাকী রয়েছে এখনও । অথচ ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে বলে নানা রকম গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।
বক্তারা আরো বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের একেবারে তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য-সদস্যরা। তারা সরকারের নানাবিধ কার্যক্রম তৃণমূল পর্যায়ে বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে থাকেন। এ অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত করা হলে সরকারি সকল সেবা থেকে বঞ্চিত হবে সাধারণ মানুষ।
এতে তৃণমূল পর্যায়ে নানা রকম বিশৃংখলা পরিস্থিত উদ্ভব হবে। সরকারের ইউনিয়ন পর্যায়ের গৃহিত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমস্যা দেখা দিবে।এছাড়াও ইউনিয়ন পর্যায়ে মাদক, চুরি, ছিনতাই, আইনশৃংখলার অবনিতসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে যাবে। তাই বক্তারা ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ বছর মেয়াদ পূরণের আগে তা বিলুপ্ত না করার দাবি জানান।