বিবিদইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ

সিলেট অফিস: সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলাধীন লালাবাজার ইউনিয়নের বিবিদইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম রানার বিরুদ্ধে এবার ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক বরাবরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর জ¦াল করে টাকা আত্মসাতের ঘটনা প্রধান শিক্ষকের তিলকে নতুন কলংকের চিহ্ন একে দিয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা উপজেলার একমাত্র বালিকা  বিদ্যালয়  বিবিদইল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ,ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মসহ বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মূখে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ও এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যস্থতায়  গত ৮ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম রানার পরিবর্তে সহকারি শিক্ষক মোঃ গোলাম মোস্তফাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি রায়।

এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের আর্থিক হিসাব-নিকাশে ব্যাপক গড়মিল দেখতে পান। বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব খান ২০২১সালের ২৩ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। তিনির মৃত্যুর পর লালাবাজার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পীর ফয়জুল হক ইকবালকে পরবর্তী অন্তবর্তীকালিন মেয়াদের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হন।

কিন্তু সু-চতুর প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ব্যাংক হিসাবে পীর ইকবালের নাম সংযুক্ত না করে তাঁরপূর্ববর্তী সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব খানের নামেই একাউন্ট রেখে বিদ্যালয়ের নামে পরিচালিত অগ্রনী ব্যাংক পিএলসি স্টেশন রোড শাখায় বিভিন্ন সময় এককভাবে আব্দুল ওয়াহাব খানের স্বাক্ষর জাল করে টাকা উত্তোলন করে যাচ্ছেন।

তিনি ২০২১সালে দুইবার, ২০২২সালে একবার এবং সর্বশেষ তিনি ২০২৪ সালের ২০ মার্চ ৪৪ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন।  অভিযোগ সূত্র আরো জানায়, প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম রানা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে নতুন কমিটি গঠনের বিষয়কে কেন্দ্র করে দায়েরকৃত মামলা সিলেট কোর্টে বিচারাধীন। মামলা চলমান থাকলেও সাইফুল ইসলাম রানা তার নিজের কর্মফিরিস্তি বন্ধ রাখেননি।

তিনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে কর্মস্হলে অনুপস্থিত   রয়েছেন। তার বিভিন্ন বির্তকিত কর্মকান্ডের কারনে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক কারন দর্শানোর নোটিশও প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগের জবাব সুষ্ট না হওয়ায় এ ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ট পরিবেশ সৃষ্টিসহ শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণে বার বার স্বাক্ষর জ¦ালকারী সাইফুল ইসলাম রানার এহেন অপরাধের সুষ্ট তদন্তসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করেছেন এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারন। 

এ ব্যাপারে আলাপকালে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি রায়, স্বাক্ষর জ¦াল করে টাকা উত্তোলনের ব্যাপারে কোন অভিযোগ আমার কাছে আসে নাই।  অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *